লালমনিরহাট কৃষি অঞ্চলের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তবে এবারের বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির বিপুল পরিমান ফসল নষ্ট হয়েছে। এ কারনে সামনে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে কৃষকরা জানিয়েছে।
জানা যায়, তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি নদী, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির বিপুল পরিমান রোপা আমন, বীজতলা, আউশ ও শাক সবজী ক্ষেত সম্পূর্ণ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যায় লালমনিরহাট জেলার কয়েক হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত রয়েছে। জেলার আমন ক্ষেতসহ শাক সবজী নষ্ট হওয়ার আগামী দিনে লালমনিরহাট জেলার এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ কারনে কৃষকদের বিকল্প ব্যবস্থায় নষ্ট ফসলের জমিতে অন্য ফসল চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে উদ্যোগ নিতে হবে।
লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের কৃষকরা জানান, এবার বন্যায় আমন, সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হয়েছে। সামনের দিনে কৃষকের কিভাবে চলবে তা নিয়ে ভেবে পাচ্ছেনা। সরকার যদি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে এগিয়ে না আসে তাহলে পথে বসতে হবে।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্র জানায়, প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা থেকে পাঠানো ফসলের এই ক্ষতির পরিমানের হিসাব পাওয়া গেলেও তা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নামের তালিকা প্রনয়নের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় এবার রোপা আমন ও আউশ ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এবারের বন্যায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।